Shazal world

A.R.Shazal এর সব লেখা এখানেই ...

আগলে রাখা ভালবাসা

#পর্ব : #০১
.
ছেলেটির নাম রনি ... মেয়েটির নাম রোজা
ছেলেটি মেয়েটিকে খুব ভালবাসতো আর মেয়েটিও ছেলেটিকে খুব ভালবাসতো ...
.
তাদের পবিত্র প্রেম তাদের কখনোই আলাদা করতে দেয়নি । কত শক্তি অপশক্তি সব বৃথা গেলো । আজ তেমন একটি গল্পই আপনাদের শোনাবো ...
.
ছেলেটি আর মেয়েটি থাকতো একটি সুন্দর গ্রামে ...
গ্রামের বিল,মাঠ আর চিরসবুজ গাছপালাই তাদের বেড়ে ওঠা আর ভালবাসার সাক্ষি !!
.
ছেলেটি মেয়েটিকে ছোট বেলা থেকেই চিনতো মেয়েটিও তাই । কিন্তু কেউ কারো সাথে কথা বলতো না কখনো ...
তাদের কথা বলার শুরু কলেজ লেভেল থেকেই !
ছেলেটি স্কুল লেভেল পার করে কলেজে ভর্তি হয় ... মেয়েটিও তাই ...
একই ক্লাশে থাকার কারণেই তাদের বন্ধুত্ব হয়ে যায় ... সেই থেকে কথা বলা আর ভাল লাগার শুরু
.
মেয়েটির পরিবার আর ছেলেটির পরিবার ২ টাই মধ্যবিত্ত কেউ কারো চেয়ে গরিব বা বড় লোক নয় .
কিন্তু ২ জনের পরিবারেই বেশ সম্মান রয়েছে গ্রামে!
ভাললাগার শুরু হয় সেদিন থেকেই যেদিন কথার শুরু --------->
- রনি ... এইযে , শুনছেন ? আমি কি আপনার সাথে একটু কথা বলতে পারি ?
- রোজা : হ্যা অবশ্যই ।
- রনি : আপনি তো আমার সাথেই পড়েন আর তাছাড়া আমরা একই গ্রামের ... আমরা কি বন্ধু হতে পারি ?
- রোজা : হুম হতে পারি কিন্তু এর থেকে বেশী কিছু আশা করতে পারবেন না !!
- রনি : হুম ... তবে বন্ধুত্বের কোনো ঘাটতি থাকাও চলবে না কিন্তু 
- রোজা : হুম অবশ্যই না ... আমি যথেষ্ট বড় হয়েছি আর ... বন্ধুত্বের দাম ভালই দিতে জানি।
- রনি : তুমি কি প্রতিদিন হেটেই কলেজে আসো ? আমি কিন্তু হেটেই আসি !!
- রোজা : হুম আমিও হেটেই আসি ... আচ্ছা তাহলে তো আমরা একই সাথে কলেজে আসতে পারি রনি ?
.
#রনির মনে যেনো লাড্ডু ফুটলো ... এটাই যেনো সে চাইছিলো ...
- রোজা : এই রনি কি ভাবছো ?
- রনি : নাহ কিছুনা ... আচ্ছা তোমার ফোন নাম্বার টা পেতে পারি ?
- রোজা :আমি সবে কলেজে উঠেছি তাই এখনো ফোন নেই নি । বাবা বলেছে ২-১ দিনেই একটা কিনে দিবে । তোমার নাম্বার টা আমাকে দিতে পারো ... ফোন নিয়েই প্রথম কল টা নতুন বন্ধুকেই করবো তাহলে 
- রনি: আচ্ছা এই নেও আমার নম্বর 01..... সত্যি কল দিও কিন্তু অপেক্ষায় থাকবো তাছাড়া কাল শুক্রুবার আর শনিবার একটা কাজ আছে ... আমি কলেজ আসতে পারবো না ... তুমি ফোন নিলে জানিও
- রোজা : আচ্ছা ঠিক আছে এখন তবে আসি ?
- রনি : আচ্ছা যাও ...
রোজা রনির নাম্বার নিয়ে চলে গেলো ... তবে দূজনেরই মনে একটা ভাল লাগা কাজ করছিলো ।।
কারণ দুজন ই দুজন কে খুব ভাল করে চিনতো 
পরের দিন রোজা নতুন ফোন নিলো ... আর ফোন কিনে বাড়িতে এসেই ...
রনিকে ফোন দিলো । রনি বাইরে থাকায় ফোন রিসিভ করতে পারলো না ! রোজা রনি একটি মেসেজ দিলো
- রোজা :কেমন আছো ?
- রনি : আপনি কে ?
- রোজা : আমি রোজা !!
এভাবেই পড়িচয় দিয়ে শুরু করে তাদের কথা এস এম এসেই বাড়তে থাকে ।
একটা সময় ... তারা একজন আরেকজন কে ভালবেসে ফেলে ...
তাদের ভালবাসা খুব ভালই চলছিলো ...
অন্যদিকে মেয়েটিকে পছন্দ করতোএমন আরেকজন ছিলো । সে মেয়েটির বাড়ির পাশেই থাকতো ।
অই ছেলেটি যখন সব জানতে পারলো সে হতাশ হয়ে মেয়েটিকে তার ভালবাসার কথা জানালো ।
রোজা যেহেতু রনিকে ভালবাসে তাই সব রনিকে বলে দিলো ... রনি ছেলেটাকে বেশ শাশিয়ে দিলো
সেই থেকেই শত্রুতার শুরু
#পর্ব : #০২
               
রোজা যেহেতু রনিকে ভালবাসে তাই সব রনিকে বলে দিলো ... রনি ছেলেটাকে বেশ শাশিয়ে দিলো 
সেই থেকেই শত্রুতার শুরু :( :( :(
-----
যেহেতু রনি ছেলেটিকে অনেক ধমকেছিলো তাই ছেলেটি রনি আর রোজার উপর প্রন্ডভাবেই রেগে গেলো । সে মনে মনে ঠিক করে নিলো যে এর বদলা সে অবশ্যই নিবে ।
.
একদিন রনিকে বাইরে একা পেয়ে ছেলেটি তার বখাটে ভাই বন্ধু নিয়ে রনিকে বেশ মারলো ... আর শাশিয়ে দিলো রোজার থেকে দূরে থাকতে ।
.
রনি খুব সাহসী ছিলো আর তাই সে ঠিক করেই নিলো যাই হোক না কেনো রোজাকে সে ভালবেসেই যাবে ।
.
রনি-রোজা একসাথেই কলেজে যেতো । একসাথেই বাড়িতে ফিরতো ।
ওদের ভালবাসা আরো গাড় হয়ে গেলো এবাবেই চলছিলো । 
ছেলেটি এসব সজ্য করতে পারছিলো না 
.
এবার সে সিদ্ধান্ত নিলো যে ,যাই হোক রোজাকে তার চাই ই চাই ... যদি না পায় অন্য কারো হতে দিবে না 
একদিন রোজা প্রাইভেট থেকে ফিরছিলো ... 
বিকেল এর শেষ টা সময়ে সন্ধ্যা নামলো বলে এমন একটা সময়েই ।
ছেলেটি তার বন্ধুদের নিয়ে ওত পেতে ছিলো  উদ্দেশ্য ছিলো রোজাকে নষ্ট করা !!
.
রোজা নিজেও জানতো না তার সাথে কি হতে যাচ্ছে !!
তবে তাই হলো সেই সন্ধ্যায় রোজা আর বাড়িতে ফিরতে পারেনি ,ছেলেগুলো যঘন্যভাবে রোজার উপর  অত্যাচার চালালো । 
রোজা নিজেকে বাচাতে পারেনি , শুধু চিতকার করেছিলো । কেউ তার চিতকার শুনলো না ...
.
অন্যদিকে রনি রোজাকে ফোনে না পেয়ে ভীষণ অস্থির হয়ে পড়লো ! সে কিছুই বুঝতে পারলো না কি হচ্ছে । শুধু অপেক্ষা করতে থাকলো রোজার ফোন কলের ।
.
রোজার বাড়ি থেকে রোজার না ফেরায় সবাই বেশ চিন্তিত হয়ে গেলো । রোজার সব বন্ধু বান্ধব এর কাছে রোজার পরিবার খবর নিলো কেউ কিছু বলতে পারলো না 
.
এভাবেই একের পর এক জনের কাছে খবর নিতে নিতে রনির কাছেও খবর টা আসলো যে রোজা বাড়িতে ফেরে নি ।
রনি এবার ভয় পেয়ে গেলো ... রনি এবার রাস্তায় নেমে পড়লো যেভাবেই হোক রোজাকে খুজে বেড় করতেই  হবে তাকে ।
রোজার পরিবার সহ গ্রামের অনেকেই রোজাকে খুজতে বেড় হয় আর রনি  একাই । 
.
একটা সময় খুজতে খুজতে রনি রোজাকে পেয়েও যায় কিন্তু  স্বাভাবিক অবস্থায় নয় , রোজা কথা বলার অবস্থায় ছিলো না ,রনি রোজাকে দেখে ভীষন ঘাবড়ে যায় । কিন্তু কি হয়ে গেলো রোজার সাথে রনি যেনো আর কিছুই ভাবতে পারছে না।
.
যা হবার হয়ে গেছে .. সবার আগে রোজাকে বাচাতে হবে । আর সাথে রোজার সম্মান ও , তাই রনিকে খুব সাবধানে ব্যাপার টা সামলাতে হবে ।
তাই রনি রোজাকে রোজার বাড়িতে নিয়ে যায় । আর রোজাকে দেখে রোজার  বাড়িতে সবাই মিলে ভীষন ভেঙ্গে পড়ে ।
# রনি রোজার বাড়িতে সবাই কে বলে দেয় যেনো এই ব্যাপারে কাউকে কিছু না বলা হয় ।
এখানে রোজার সম্মান জড়িয়ে ছিলো । আর সেই রাতে রনির অস্থিরতা দেখেই রোজার বাড়ির সবাই বুঝে যায় রনির প্রতি রোজার ভালবাসার কথা ।
.
রনি বাড়িতে ফিরে আসে । সে ভীষণ অস্থির হয়ে পরে। রনি ভেবে পাচ্ছিলো না কি করবে ? রনির মরে যেতে ইচ্ছে করছিলো । কিন্তু রনি খুব ভেবে চিন্তে নিজেকে সামলে নিলো ।।
 রনিকেই রোজাকে এই ব্যাপার টা থেকে বেড় করে আনতে হবে । আর রোজাকে যারা এত বড় কষ্ট দিয়েছে তাদের সবাইকে শাস্তি দিতে হবে । এটা ভেবেই রনি নিজেকে সামলে নিলো । 
.
সে রাতে রনি বার বার ফোন করে রোজার খবর নিলো ।  রোজা কিছুদিনের মধ্যেই কিছুটা সুস্থ হয়ে গেলো !! তবে এ রোজা আর সেই রোজা নেই ।
মন মরা হয়ে এক অজানা ভাবনায় বসে থাকে ।





 চলবে ...


যখন খুব কাছের মানুষ স্বপ্ন'টা ভেঙ্গে দেয়

প্রতিটি মানুষই স্বপ্ন দেখে,
কারো স্বপ্ন সত্যি হয়,
আবার, কারো'টা রাতের আঁধারে
হারিয়ে যায় দূর অজানায়।
কিন্তু,যখন স্বপ্নটা এমনি এমনি 
ভেঙ্গে যায়,
তখন বেশি কষ্ট না পেলেও,
যখন খুব কাছের মানুষ তার
স্বপ্ন'টা ভেঙ্গে দেয়,
তখন নিজেকে শান্তনা
দেওয়ার ভাষা
খুঁজে পাওয়া যায় না।

আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি

আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি ... 
আজ ভালবাসা দিবস ও বটে ...
আজ অনেক এর কাছে দিনটি ভিষণ স্পেসাল ...।
কারো কাছে তো বহু প্রতিক্ষিত ...
.
আমিও কন্তু দিনটার জন্য অপেক্ষা করে ছিলাম ... 
কিন্তু কারণ টা একটু কম স্পেসাল ।। 
গার্লফ্রেন্ড না থাকার কারনে লিটনের ফ্লাট কিংবা ... পার্কে ডেটিং নিয়ে কোনো চিন্তা ভাবনাই আমার মাথায় আসে নি ... আর থাকলেও আসতো না হয়তো ...
...
আমার এই দিনটার স্পেসিয়ালিটি টা অন্য যায়গায় ।
আমি আসলে স্বপ্ন দেখতে ভালবাসি । একটা দুষ্টু মিষ্টি গার্ফ্রেন্ড থাকবে,অনেক রাগ দেখাবে,অভিমানি মন নিয়ে মিষ্টি করে ভালবাসবে ।
...
এত এত ফিংস এর মধ্যেই আমার ভালবাসার গল্প গুলো পড়তে বা দেখতে ভাল লাগে ...
...
তাই এই ভাললাগার ফিলিংস গুলো নিয়ে ভালবাসার দিবসের সুন্দর সুন্দর নাটক আর ভালবাসার গল্প গুলো উপভোগ করতেই আমি এই ১৪-ই ফেব্রুয়ারির জন্য অপেক্ষা করে থাকি ... 
...
আসুন সবাই মিলে নোংরা ভালবাসাকে বর্জন করে ... টেলিভিশন এর মিষ্টি ভালবাসার গল্প গুলো উপভোগ করি 

ফেসবুকের সমস্যা বা ফেসবুকের আবর্জনা

ফেসবুকের সমস্যা বা ফেসবুকের আবর্জনা ...
.
আমার এই পোষ্টে হয়তো অনেকের ই গায় জ্বালা করবে , অনেকের ই আমার উপর রাগ হবে কারণ আমি এখন একটি অত্যান্ত সত্য কথা প্রকাশ করতে যাচ্ছি আর এই টাইপের মানুষের সাথে আমার সরাসরি শত্রুতাও হয়ে যেতে পারে ...
বাট হু কেয়ারস ??
.
আসল কথা আমরা ফেসবুক চালাই , আর আমারা এখানে সর্বদাই সুন্দর মন নিয়ে ঘোরাঘুরি করে থাকি , এটা একটা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম । সমাজের প্রধান হিসেবে আমাদের মানুষ জাতিরাই এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটাকে সুন্দর করে গরে তুলছি ।
.
কিন্তু আসলেই কি আমরা তা পারছি ? আমার মনে হয় না ... এখানে যেমন ভাল মানুষ আছে আবার এই ফেসবুকের কিছু খারাপ মানুষের জন্যই আমরা পরছি বিভ্রান্তিতে ...
.
ফেসবুক কে এক একজন মানুষ এক এক টা মধ্যম হিসেবে ব্যাবহার করে । কেউ এটকে আড্ডা দিতে ব্যাবহার করে , কেউ এখানে বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ এর জন্য আসে , আবার কেউ এটাকে গল্প আর সংবাদ পড়ার প্রধান মাধ্যম হিসেবে ব্যাবহার করে থাকে ...
.
কিন্তু আসল কথা হচ্ছে ফেসবুকে মেয়েদের সব থেকে বড় সমস্যার শিকাড় হতে হয় , ফেসবুকের মেয়েদের সাথে অতি সহজেই কথা বলা যায় তাই , সব ছেলেরা চেষ্টা করে মেয়েদের সাথে কথা বলার ...
কিন্তু সব মেয়েরা মেসেজ এর জবাব দিতে পারে না , কারন তখন হয়তো তারা কোনো পোষ্ট পড়ছে অথবা গল্প লিখছে , অথবা পরম বন্ধুদের সাথে আড্ডায় ব্যাস্ত , এমন অবস্থায় মেয়েরা মেসেজ এর রিপলে করবে কিভাবে ? আপনারাই বলুন ?
.
কিন্তু রিপলে না দিলেই কিছু ছেলেরা , মেসেজ দিতে থাকে অশালীন ভাবে যেমন , অভদ্র মেয়ে , খারাপ মেয়ে , ভাব নেও ? আরো অনেক অশ্লীল গালাগালি যা এখানে প্রকাশ করলে আমার পোষ্ট টা আর পড়ার যোগ্য থাকবে না ...
এসব কি ভাই ? একটা ছেলে হয়ে আপনি যা খুশি তাই করবেন ? আমি এর পূর্ণ বিরধিতা করছি , এমন মন মানষিকতা কোনো মানুষের হতে পারে না , তাই আমি আপনাদের ফেসবুকিয় আবর্জনা হিসেবে সরাসরি আখ্যায়িত করছি ...
.
সব মানুষ এক নয় ... মেয়েদের উদ্দেশ্যে বলি আপনারা এসব নংরা মানুষের পাল্লায় পরেই সব ছেলেদের উপর ক্ষিপ্ত হবেন না । এখন অনেক সাইবার আইন কানুন করা হয়েছে আপনারা বি.টি.আর.সি এর সাহায্য নিন আর এদের আইনের আওতায় নিয়ে আসুন ...
শুধু মেয়েরা না ...
ছেলেরাও এগিয়ে আসুন আর এইসব নোংরা মানুইষিকতার ফেসবুকিও আবর্জনা গুলোকে পরিষ্কার করে সুন্দর একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নতুন প্রজম্ম কে উপহার দিন ।
#সজল
৩১/১/২০১৮
১২ টা ১৮ এ.এম

ব্যার্থতা



ব্যার্থতা , সবার ই থাকে কারো পরিমাপ টা বেশী কারো বা ব্যার্থতার পরিমান টা অনেক কম 
আপন মানুষেরা যখন এই ব্যার্থতাকে খুটি হিসেবে ব্যাবহার করে আর প্রতিনিয়তই এটাকে কেন্দ্র করে আপনাকে বিচার করতে চাইবে তখন ই বুঝতে পারবেন আপনি কতটা ব্যার্থ । 
.
যাদের কে ঘিরে আপনার পূরো পৃথিবী তাড়াই আপনাকে পদে পদে মনে করিয়ে দিবে আপনি ব্যার্থ আপনি এটার যোগ্য নন , আপনি ওটার যোগ্য নন ... তখন ই উপলব্ধি করবেন আপনি একজন অযোগ্য মানুষ। 
.
সব থেকে বড় ব্যাপার যাদের ভালবাসায় আর সান্তনার উপর ভরসা করে আপনি আপনার ব্যার্থতা গুলো কাটিয়ে যতবার ই নিজেকে নতুন করে সাজাতে চাইবেন এই আপন জনেরাই মনে করিয়ে দিবে আপনি তার যোগ্য নন...
.
কিন্তু এটা কি হওয়ার কথা ছিলো ? আপন জনেরা ভালবাসবে এটা স্বাভাবিক , আপন জনেরা ভালবাসে এটাও সবাই বিশ্বাস করে মনে প্রাণে , কিন্তু এই বিশ্বাস থেকেই যখন আমরা আমাদের ব্যার্থতাকে ভুলতে চাই , আপন জনেদের উপর ভরসা করে তখন ই কথা টা উঠে আসবে এটা তে তুমি ব্যর্থ হয়েছো তোমার যোগ্যতা নেই ... 
.
নিজেকে তখন নতুন করে সাজানোর বদলে ইচ্ছে হবে শেষ করে দিতে ... মুখে ভালবাসি বললেই ভালবাসা যায় না ... আপন জন হলেই আপন জন হওয়া যায় না ... আপনি অবিভাবক , আপনি সম্মানিয় , তার মানে এই নয় আপনাদের ভরসাতে যারা বেচে থাকে , তাদের বিশ্বাস নষ্ট করে তাকে বুঝিয়ে দিবেন যে তুমি অযোগ্য ... 
.
অযোগ্য প্রমান হলেই কেউ অযোগ্য হয়না , তার প্রমাণ অবশ্যই ক্রমশই প্রকাশ্য , প্রকাশ পাবেই ...
আজকালের সমাজ ব্যাবস্থা কিনবা বিপদ আপদের উপর ভিত্তি করে ফলাফলের উপর প্রভাব তো যেকোনো ভাবেই আসতে পারে ... 
.
পাশে থাকতে শিখুন , ভালবাসার মতন ভালবাসতে শিখুন , আপনজন হতে শিখুন 
.
বিঃদ্রঃ সবার মতামতের সাথে মিলবে না , কারন সবার জীবনের বাস্তব টা এমন না , তবে সব আপন মানুষেরাই এমন । সঠিক পরিস্থিতিতেই প্রকাশ পায়...
যা বলেছি সব বাস্তবতা থেকে , যা লিখেছি উপলব্ধি করে ...
#সজল

ভালবাসার দিবস


.... আচ্ছা ভালবাসার কি কোনো মুহুর্ত হয় ? নাকি কোনো দিবস ?
ভালবাসা একটা মানুষ এর জীবন এ আসলেই অনেক জরুরী । ভালবাসাই কোনো মানুষ এর জীবণে পরিবর্তন আনে এটাই সত্যি ।
কিন্ত এটাও সত্যি যে দূর থেকে ভালবাসার মধ্যে প্রকৃত ভালবাসা ফুটে ওঠে ।
অনেক ভালবাসাই আছে যে দুজন দুজনকে ভালবাসে কিন্ত কেউ কাউকে বলেনি কখনো ।
তাদের ভালবাসা কিন্ত এই ভালবাসা দিবস এ পূর্ণতা পায় না ? তারা কিন্ত একসাথে ডেটিং কিংবা লিটনের ফ্লাটে যেতে পারে না ।
 তাদের ভালবাসা টা ভালবাসা নয় ? ও হ্যা এখন তো ডেটিং কিনবা লিটনের ফ্লাট ছাড়া ভালবাসা পুর্ণতা পায় না ...

তাদের অইসব অশ্লিলতা আর ভালবাসার নামে বেহায়া পনার তো একটা নাম দিতে হবে । তাই তারা এই দিন টাকেই বেছে নেয় ।
ভালবাসা দিবসে তারা ভালবাসার নামে যা চায় তাদের ভালবাসার মানুষটি তা দিতে রাজি হয়ে যায় ।
ঐযে ! ভালবাসা দিবস টা যে স্পেসাল এই দিন এ স্পেসাল ভালবাসা দিতেই হয় । যারা সত্যি ভালবাসে তাদের ভালবাসার জন্যে কোনো দিবসের প্রয়োজন পরে না ।

তারা সব সময় ভালবেসে তাদের ভালবাসার মানুষ টিকে যত্ন করে আগলে রাখে ।
আসলে আগলে রাখার নাম ই ভালবাসা । এ ভালবাসা যে কোনো রকমের হতে পারে । ভাইয়ের প্রতি বোনের কিনবা ছেলের প্রতি মায়ের । সব ভালবাসাই যত্ন করে আগলে রাখা ।

তাই আসুন আমরা ভালবাসার দিবসে ভালবাসতে শিখি । ভালবাসা দিবস থেকে আমরা কিভাবে প্রতি দিন কেই ভালবাসার দিন হিসেবে গড়তে পারি সেটা উপলব্ধি করতে শিখি ।

#SHAZAL

আমাকে চিরতরে একা করে, তুমি চলে গিয়েছো অনেকটা দূর



প্রিয় ,
তুমি জানো কি ?তোমাকে ছাড়া আমি কেমন আছি ? কি ভাবছো ? আমি তোমাকে ছাড়া অনেক টাই ভাল আছি ?
কি করে ভাবলে আমি তোমাকে ছাড়া ভাল থাকতে পারি ?  তুমি তো আমার সম্পর্কে জানো বলো তুমি কি বোঝোনা তোমাকে ছাড়া আমি কিভাবে দিন কাটাই ?   কি করে পারলে বলো তোমার অই নরম মন টাতে এত বড় পাথর চাপা দিয়ে আমাকে দূরে সরিয়ে রাখতে ? 

এও কি সম্ভব ?
আগে কখনো ভেবে দেখিনি আমি । তুমি কি ভেবেছিলে ?  কি জানি ,
মানুষের মন বোঝা কি এতটাই সহজ ?

হয়তো না তাই তো আমি আজো তোমার অপেক্ষা করে আছি  । হয়তো তোমার ও খারাপ লাগে আমার জন্যে কিন্তু তুমি কি ভেবে দেখেছো ? আমি কিভাবে কষ্ট পাচ্ছি ?  তুমি দূরে চলে গেলে আর আমি তোমাকে ভুলে যাবো এটা কি এতটাই সহজ ভাবে সম্ভব ? কি করবো বলো আমি তোমাকে ভুলতে পারিনি , সত্য বলতে ভুলতে চাইনি আমি কখনোই না ।

তুমি বলতে আমি তোমার সাথে কেনো ঝগরা করি না ?

মনে আছে ?

আরেহ পাগল আমি জানতাম আমি যদি তোমার সাথে ঝগড়া করি , তোমার সাথে রাগ করে থাকি অনেক কষ্ট পাবে তুমি ।  তাই কখনই ঝগড়া করতাম না তোমার সাথে ।  বার বার ছোট বড় সব ভুল এ আমার দোষ না থাকলেও আমি কেনো সরি বলতাম জানো ?  যে কষ্ট টা আমি এখন পাচ্ছি এই কষ্ট টা আমি কখনোই তোমাকে দিতে চাইনি ।  এই কষ্ট না দেয় নিজে মেরে ফেলতে না দেয় বাচিয়ে রাখতে এই কষ্ট সব কষ্টের চাইতে যন্ত্রনাময় ।

খুব সহজেই দূরে চলে গেলে আমাকে একা ফেলে , আমার হাত টা হাড়িয়ে ফেলার আগে একবার ও কি ভেবে দেখেছো তোমার হাত ধরে ছাড়া আমি চলতে পারি কিনা ? কিভাবে ভুলে থাকবো তোমায় ? নিজেকে ব্যাস্ত রাখবো কোনো কাজে ? কিভাবে সম্ভব ? যখন কোনো কাজ শুরু করতে যাই তখন ই মনে পড়ে যায় আমি তোমাকে না বলে যে কোনো কাজ ই করতাম না ? অনে আছে সে কথা ? নিজেকে আড়াল করে যখন চোখের জল মুছে আবার চেষ্টা করি তখন কাজের ক্লান্তিতেও যে তোমার কথাই মনে পড়ে যায় , মন চায় একটু তোমার সাথে কথা বলে ক্লান্তি টা দূর করি ।

কিন্তু তোমায় পাওয়া যে অসম্ভব !!

কাজ শেষ হলে এখন আর কাউকে টেক্সট করে বলা হয়না যে কামার কাজ টা শেষ হলো কিভাবে বলবো বলো সেই তুমি তো আর আমার নেই , আমাকে ভুলে অনেক দূরে চলে গেছো ……

হয়তো , আশে পাশেই কিন্তু আমার থেকে অনেক টাই দূরে , তোমার সাথে যোগাযোগের নেই কোনো অধিকার , সুযোগ সেগুলো তুমি ই কেরে নিয়েছো , তাই বাধা দেইনি ।

খুব জানতে ইচ্ছে করে , দিন শেষে রাত হলে কি তোমার আমার কথা মনে পড়ে ?  কখনো কি চোখের কোণে “দু” ফোটা জল অনুভব করো ?  নাকি সব ভুলে ভালই আছো তুমি ?   আমি কি তোমার জীবণের একটা ভূল ছিলাম ? 

ভুল টাকে ভুলে তবে ভালই থাকছো ।

ভুল শুধরে নিয়েছো হয়তো । আমি তো পারিনি , দিন শেষে যখন রাত্রি হয় , তখন তোমায় ভীষণ মনে পড়ে জানো ? কিছুতেই নিজেকে সামলাতে পারি না , প্লে লিস্ট এর  গান গুলো ও বার বার বলে দেয় তোমার কথা , তোমার ভালবাসার কথা , বার বার মনে হয় তুমি তো আমার ই ছিলে কেনো এত দূরে গেলে ?

নিজে সামলাতে পারি না , নির্ঘুম রাত আর হাজার টা না বলা কথা বলি তোমার সাথে জানো ? সেগুলো হয়তো তুমি শুনতে পাওনা , কিভাবে পাবে বলো ? ভালবাসাটাই যে আর নেই …।

সব শেষে নিজের অজান্তেই কষ্ট পেতে পেতে ঘুমিয়ে পড়ি কখনো কখনো , আর সকালে দিনের শুরুতে বলি ভালো থেকো , যেখানেই থাকো সব সময় ভাল থেকো ।